স্বাস্থ্য কাকে বলে? কিংবা স্বাস্থ্য কি? WHO , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে একটি সংজ্ঞা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে শারীরিক , মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতার একটি ক্ষেত্র যা কেবল রোগ বা দূর্বলতার অনুপস্থিতি নয়।
WHO সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন।
জনগণ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতির আগে চিন্তা করত কিংবা ভাবতো স্বাস্থ্যবান কিংবা শরীরে কোন রোগ বালাই নেই এমন টাই স্বাস্থ্য।যাই হোক স্বাস্থ্য হচ্ছে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থতা।সুস্থ্যতা মানে শারীরক ও মানসিক এর পাশাপাশি সামাজিক ভাবেও স্বাভাবিক থাকা সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে কিংবা তাল মিলিয়ে চলা।
শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা শরীরকে সহজে অসুস্থ করে তুলতে পারে। যেমন ধরুন, উওেজিত হলে রক্ত চাপ বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগ এর সম্ভাবনাও বেশি থাকে।মন খারাপ থাকলে হজম কম হয় এবং পাকস্থলী অসুস্থ হয়ে। হটাৎ করে দুংখের খবর শুনলে চোখ বন্ধ হয়ে আসতে পারে। উপরের ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে মানুষের স্বাস্থ্য মানসিক এবং সামাজিক বিষয়ের উপরে নির্ভর করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO স্বাস্থ্য সম্পর্কে ১০ টি মানদণ্ড কিংবা মাপকাঠি দিয়েছে :
- দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতা সম্পন্ন কিংবা কর্ম শক্তি সম্পন্ন স্বাভাবিক ভাবে বিভিন্ন প্রকার কাজ মোকাবেলা করতে পারে।
- আশাবাদী, সত্যি এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে কজ করতে পারে।
- নিয়মিত বিশ্রাম নেয় এবং ঘুম ভালো।
- পরিবেশের সঙ্গে বিবর্তিত হতে পারে। বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করতে পারে।
- সাধারন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। যেমন: সর্দি , কাশি।
- ওজন সঠিক রয়েছে। শরীরের গঠন গত দিক দিয়ে।
- চোখ উজ্জল, কোন প্রদান রোগ নেই।
- চুলে উজ্জলতা থাকবে, কোন প্রকার খুশকি থাকতে পারবে না।
- দাঁত পরিস্কার এবং সতেজ থাকবে। মাড়ির রং স্বাভাবিক।
- হাড় শক্তবান এবং পেশী ও ত্বক নমনীয়। হাটাহাটি করলে কোন অসুবিধে নেই।
মানসিক স্বাস্থ্য কী?
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক শারীরিক স্বাস্থ্যের মতই। শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আমরা যখন সুস্বাস্থ্যের অধীকারি তখন আমাদের অনেক কর্মশক্তি থাকে এবং আমরা ভালো কাজ করতে পারি। তেমনি করে আমরা যখন মানসিক ভাবে সুস্থ তখনও আমরা পূর্ণ উদ্যোমে অনেক ভালো কাজ করতে পারি।
মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন।
আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য গঠিত হয় আমাদের মন, আচারন গত দিক এবং সংবেদনশীল দিকগুলি নিয়ে। আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কী চিন্তা করি।জীবন কে সামলাতে কিংবা জীবনের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝে চলার ক্ষেত্রে আমরা কিরকম ব্যাবহার করি। এই গুলোই আসলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ।
মানসিক ভাবে সুস্থ একজন মানুষ নিজের সম্পর্কে ভালো ভাবে এবং কখনোই কিছু আবেগ যেমন : রাগ, ভয়, হিংসা, অপরাধবোধ কিংবা উদ্বেগ দ্বারা নিজেকে কখনো আচ্ছন্ন করে না।জীবন যখন যেমন চাওয়া-পাওয়া কিংবা চাহিদা আসে। তা সামলে নেওয়ার ক্ষমতা তারা রাখে।
শারীরিক স্বাস্থ্য এর মত যদি একজন মানুষের বিভিন্ন নেতিবাচক আবেগ যেমন উদ্বেগ কিংবা ভয় দ্বারা আচ্ছন্ন থাকে তাহলে এই আবেগ গুলো একজন মানুষকে মানসিক ভাবে অসুস্থ করে দিতে পারে। এমত অবস্থায় সে যদি সঠিক সময় মানসিক সাহায্য না নিয়ে থাকে। তাহলে, পরবর্তী কালে তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং ডিপ্রেশন, বিষন্নতা বা জেনারেল আ্যাংজাইটি ডির্সডার বা সাধারন উদ্বেগ ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত পারে।
মনে রাখবেন ঠিক যেমন যে কারুর ঠান্ডা বা ফ্লু লাগতে পারে, তেমনি যে কেউ মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।যখন আমাদের জীবনে কোন চাপ কিংবা উদ্বেগের মতো কঠিন সময় আসে।
মানসিক স্বাস্থ্য এর সুস্থতা কাকে বলে?
মানসিক স্বাস্থ্য এর সুস্থতা হলো যখন মানুষ নিজের সম্ভাব্য শক্তির জায়গা গুলি সহজেই বুঝে যায়।জীবনের নানা পর্যায়ের চাপের সাথে ভালো ভাবে মানিয়ে নিতে পারে, কর্ম ক্ষেত্রে ভালো ও ফলপ্রসূ ভাবে কাজ করতে পারে এবং সমাজের জন্য তার যথেষ্ট অবদান থাকে।
মানসিক চাপ কাকে বলে?
আমাদের রোজরাক জীবনে কিছু চাপ থাকেই।যখন আমাদের কোনো কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা বাধা থাকে তখন আমরা চাপ অনুভব করি বা মাসের শেষ পর্যন্ত চালানোর মতো পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে তখন আমরা চাপ অনুভব করি।
যেমনি হোক মানসিক চাপ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য এর জন্য অনেক সময় ভালো অনেক সময় খারাপ।
ভালো মানসিক চাপ :
- শক্তির বিস্ফরণ ঘটায়।
- রোজকার নানা সমস্যা সামলাতে সাহায্য করে এবং আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনুপ্রেরণা জাগায়।
- আরো দক্ষ ভাবে কাজ শেষ করতে সহায়তা করে।
খারাপ মানসিক চাপ :
- মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
- শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
যদি আমরা একই মানসিক চাপের মধ্যে সপ্তাহের পরে সপ্তাহ বা মাসের পরে মাস থাকি তাহলে তা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক।
কি করে বুঝবো যে আমার খুব বেশি মানসিক চাপ হচ্ছে কিনা?
আমাদের শরীর আমাদের বলে দিবে যদি আমাদের খুব বেশি সংগ্রাম করতে হয় মানসিক চাপের সাথে। মানসিক চাপের বেশ কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো।
শারীরিক
- সব সময় মাথা ব্যাথ্যা।
- শেষ করতে অসুবিধা হওয়া।
- শরীরে ব্যাথা ও বেদনা।
- নিয়ে ভেবে যাওয়া ।
- ক্ষনে ক্ষনে অসুস্থ হয়ে পড়া।
মানসিক
- কোন কাজে মনোযোগ দিতে বা
- সব সময় চিন্তার বিষয় গুলো
আবেগ
- আসেপাশের সকলের জন্য ও সব
- জিনিসে বিরক্ত হওয়া।
- দ্রুত রেগে যাওয়া ।
- স্বাভাবিকের থেকে বেশি উদ্বেগ থাকা।