অক্সিজেন সিলিন্ডার দাম কত ?

অক্সিজেন সিলিন্ডার দাম কত ?

অক্সিজেন সিলিন্ডার দাম কত? লিন্ডা অক্সিজেন সিলিন্ডার এর দাম ২১৫০০ টাকা, চায়না অক্সিজেন সিলিন্ডার এর দাম ১২৫০০ টাকা এবং ইসলাম অক্সিজেন সিলিন্ডার এর দাম ১১৫০০ টাকায় বর্তমানে বাংলাদেশ এর বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশের বাজারে তিনটি কোম্পানি অক্সিজেন সিলিন্ডার উৎপাদন করে থাকে। এই তিনটি কোম্পানি হলো লিন্ডা অক্সিজেন সিলিন্ডার, চায়না অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ইসলাম অক্সিজেন সিলিন্ডার।

লিন্ডা অক্সিজেন হলো একটি ইন্টারন্যাশনাল অক্সিজেন উৎপাদনকারী কোম্পানি। তারা কয়েক দশক ধরে চিকিৎসা খাতে অক্সিজেন সরবরাহ করে আসছে।করোনা মহামারী চলাকালীন, যখন অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তার পর থেকে কোম্পানিটি অক্সিজেনের উত্পাদন বৃদ্ধি করেছে এবং বিপুল সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজারে সরবরাহ করেছে। লিন্ডা অক্সিজেন সিলিন্ডার বাংলাদেশের বাজারে সেরা মানের অক্সিজেন সিলিন্ডার হিসাবে বিবেচিত হয়।

চায়না অক্সিজেন সিলিন্ডার, একটি বিদেশি কোম্পানি।যারা প্রধানত বাংলাদেশের মেডিকেল সেক্টরে এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য অক্সিজেন উৎপাদন করে থাকে। দাম মাঝারি হওয়ায় চায়না অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা তুলনামূলকভাবে ভাল। যখন করোনার ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছিল এবং লোকেরা সস্তা অক্সিজেন সিলিন্ডার সন্ধান করতে শুরু করল।তখনই চায়না অক্সিজেন সিলিন্ডার খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে, মোটামুটি দামের পণ্যগুলি ভাল চলে,  যা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়তা করেছে।

ইসলাম অক্সিজেন সিলিন্ডার একটি বাংলাদেশী অক্সিজেন উৎপাদনকারী কোম্পানি। ইসলাম অক্সিজেন সিলিন্ডার গ্রাহকদের কেন্দ্র করে অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজারজাত করে। যদি গ্রাহকের অক্সিজেন ব্যবহার বা অক্সিজেন সিলিন্ডার সম্পর্কিত কোনও সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে ইসলাম অক্সিজেন সিলিন্ডার সেই সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য কাজ করে এবং তেমনি  করে পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করে থাকে।

অক্সিজেন যে কোম্পানিই উৎপাদন করুক না কেন, যখন কোন কাষ্টমার অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয় করতে যান, কিংবা ক্রয় করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে বিক্রেতা অক্সিজেন সিলিন্ডার এর সাথে বেশ কিছু সরজ্ঞাম দিয়ে থাকে।

যা থাকে প্রোডাক্টের সাথেঃ

  • অক্সিজেন ফ্লো মিটার।
  • অক্সিজেন ট্রলি।
  • অক্সিজেন সিলিন্ডার।
  • নজেল ক্যানোলা/মাস্ক।
  • ধারণ ক্ষমতাঃ ১.৩৬ ঘনমিটার।
  • ২০০০ লিটার প্রেসারের অক্সিজেন।
  • ব্যবহারের সময়ঃ সর্বনিম্ন গতিতে ১৫০০ মিনিট।
  • ফ্রি হোম ডেলিভারি। ( যদি  কেউ অনলাইনে কিংবা মোবাইলে অর্ডার করে থাকে সেক্ষেত্রে)

বাংলাদেশে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যা বিভিন্ন মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করে।কেউ কেউ আছেন যারা অনলাইনে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করেন।কিছু লোকের দোকান রয়েছে এবং কিছু লোক দোকান এবং অনলাইন উভয় ক্ষেত্রে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করে।

অক্সিজেন সিলিন্ডার দাম কত?

এটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত একটি স্কেল রয়েছে। কিছু দোকানদার মাঝে মাঝে বেশি দাম নেন। সেই ক্ষেত্রে অনলাইন থেকে ক্রয় করা ভালো। কারণ, দামগুলি অনলাইনে দেওয়া হয়। কম বেশি কিছু করার সুযোগ নেই।

অক্সিজেন কি?

অক্সিজেন হল একটি রাসায়নিক মৌল। অক্সিজেন এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮, এবং অক্সিজেনের প্রতীক ০।অষ্টদশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানী অঁতোয়ান লাভোয়াজিয়ে আম্লজান নামটি নির্দিষ্ট করেন। কারন তখন মনে করা হতো সকল অম্লের মধ্যে আম্লজন বিদ্যমান থাকে,পরে যা ভুল প্রমাণিত হয়। অক্সিজেন এর যোজ্যতা সাধারনত – ২। এই মৌলটি অনান্য মৌলের সাথে সাধারনত সমযোজী বা আয়নিক বন্ধন দ্বারা যৌগ গঠন করে থাকে।

অক্সিজেন সিলিন্ডার কি?

অক্সিজেন সিলিন্ডার হলো তরল অক্সিজেন রাখার একটি বোতল। তরল অক্সিজেন গ্যাস গুলোকে চাপ প্রয়োগ করে আটকে রাখা হয় অক্সিজেন সিলিন্ডার গুলোর মধ্যে। অক্সিজেন সিলিন্ডারে, তরল অক্সিজেন সংরক্ষন করা বেশ কয়েকটি কারন রয়েছে,

  • বাড়িতে কিংবা হাসপাতালে যদি কারো অক্সিজেন এর দরকার হয়।
  • বিমানের উচ্চতায় অনেকের শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এরকম জরুরি পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার চিকিৎসা ব্যাবহার করা হয়।
  • অক্সিজেন থেরাপি।
  • ডাইভিই এর ক্ষেত্রে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাবহার করা হয়।
  • অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি শ্বাসজনিত সমস্যাযুক্ত লোকদের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
  • এভারেস্ট আরোহণের জন্য আপনার অক্সিজেনের দরকারও রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনার অক্সিজেন সিলিন্ডারও প্রয়োজন।
  • করোনভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত 40% রোগীর অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রয়োজন।

অক্সিজেন সিলিন্ডার ভাড়া ৩ ভাবে নেওয়া যায়:
৭দিন=৩২৫০টাকা।
১৫দিন=৫২৫০ টাকা
৩০দিন=৮৫০০ টাকা (তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কম বেশি হতে পারে)